অনলাইন নিবন্ধন করার ওয়েবসাইট লিঙ্কঃ
BSCIC One Stop Service platform for Ease of doing business in Bangladesh (ossbscic.gov.bd)
নিবন্ধন করার যৌক্তিকতা ও সুবিধাদিঃ-
১. প্রতিটি ব্যবসা/শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচিতির প্রয়োজন রয়েছে । নিবন্ধন ব্যবসা/ শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি প্রদান করে থাকে । ব্যবসা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের পরিচিতির জন্য নিবন্ধন অপরিহার্য ।
২. মাঝারি, ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প এমনকি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের পোষক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিসিক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান । তাই পোষক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিসিকের নিকট হতে নিবন্ধন নেয়া হলে সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া যায়।
৩. শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইউটিলিটি সার্ভিস অর্থাৎ গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে বিসিকের নিবন্ধনের প্রয়োজন রয়েছে । তাছাড়া ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নিবন্ধিত হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে রিবেট পাওয়া যায়।
৪. শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণ।
৫. শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাঁচামাল/ যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আইআরসি সুবিধা গ্রহণ।
৬. আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে ৫% আয়কর মওকুফ /রিবেট পাওয়া যায় এবং কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে ১০০% ভ্যাট মওকুফ সুবিধা পাওয়া যায়।
৭. উদ্যোক্তাকে শিল্প কারখানা স্থাপনে, উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে, বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করতে, পণ্যের সাব-কন্ট্রাক্টিং করা ইত্যাদি বিষয় উদ্যোক্তাকে সব ধরনের কারিগরি তথ্য, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ।
৮. বিসিকের নিজস্ব তহবিল ও এসএমসিআইএফ ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে বিসিক কর্তৃক ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে ।
৯. বড় আকারে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিসিক কর্তৃপক্ষ প্রকল্প প্রস্তাব ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করে তফসীলভুক্ত ব্যাংকসমূহে সুপারিশ সহকারে প্রেরণ করেন এবং ঋণ প্রাপ্তিতে বিসিক কর্তৃপক্ষ সুপারিশকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে ।
১০. বিসিকের নিবন্ধনপ্রাপ্ত শিল্প ইউনিটসমূহ কোন কারণে রুগ্ন হয়ে পরলে রুগ্ন হওয়ার কারণ নিরুপন করে উদ্যোক্তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে থাকে; অর্থাৎ রুগ্ন শিল্পের ডায়াগনোসিস করে রুগ্নতা নিরসনে পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
১১. স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বিসিকের নিবন্ধন নেয়া আবশ্যক ।
১২. লবণ শিল্প নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিসিকের নিবন্ধন নেয়া বাধ্যতামূলক এবং ভোজ্য লবণ তৈরিতে স্বল্প মূল্যের পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ সহ লবণের গুণগত মান বজায় রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস